মোহাম্মদ উল্লাহ, চকরিয়া :: চকরিয়া, পৌরসভা ও মাতামুহুরী থানা জাতীয় পার্টির সম্মেলন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে দু’পক্ষ। সম্মেলনকে ঘিরে দুই ভাগ হয়ে পড়েছে সংগঠনটি। আজ ১৪ ডিসেম্বর সকাল দশটায় দুইটি স্থানে জাতীয় পার্টির সম্মেলনের একপক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মোহাম্মদ ইলিয়াছ এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় পার্টি পেশাজীবি সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা শামসুল আলম। এতে উভয়পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছের অনুসারীরা চকরিয়া উপজেলা, মাতামুহুরী থানা ও পৌরসভা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ১৪ডিসেম্বর তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সম্মেলন সফল করতে সাবেক এমপির অনুসারীরা সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ফাঁশিয়াখালী গ্রীনভেলীতে।
এদিকে একই সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় নেতা শামসুল আলমের অনুসারীদের। তাদের সম্মেলন চকরিয়া প্রো ক্যাডেট কলেজে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবে। সম্মেলনে জমায়েত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উভয়পক্ষ। বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবুলের নির্দেশনা মতে চকরিয়ায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মহাসচিবের চিঠির ক্ষমতাবলে সম্মেলন করার কথা জানান তিনি। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে কিছু নেতাকর্মী নিয়ে সম্মেলন করার চেষ্ঠা করছেন।
এদিকে জাতীয় পার্টি পেশাজীবি সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা শামসুল আলম বলেন, জাতীয় পার্টির তৃণমুলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মেলন করছেন। সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন। দলীয় নেতাকর্মীরা সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করবে। তিনি আরও বলেন, গুটি কয়েক নেতার ভাগ্য পরিবর্তন হলেও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হয়নি। তাই এই সম্মেলন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ত্যাগীরা মর্যাদা পাবেন বলে জানান তিনি।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোঃ যুবাইর বলেন, জাতীয় পার্টির সম্মেলন হচ্ছে সেটা জানি। কিন্তু দুটি সম্মেলন হচ্ছে সেটা আমার জানা নাই। এরপরও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুমোদন দিয়েছেন কিনা জানি না।
পাঠকের মতামত: